১. হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, জীবনাচার, রাজনৈতিক দর্শন, নেতৃত্বগুণ, দেশপ্রেমসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ সৃষ্টির জন্য “বঙ্গবন্ধু কর্নার” স্থাপন করা হয়েছে।
২. এ কর্নারের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষক-কর্মকর্তা সহ শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ, তাঁদের নৈতিকতা ও মননশীলতার উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত কর।
৩. এ কর্নারে আছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ বইসহ ঐতিহাসিক বিষয়াদি যেমন- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বিভিন্ন উক্তি সম্বলিত ছবিসহ ব্যানার, বঙ্গবন্ধুর ছবি, পোস্টার, ফেস্টুন ইত্যাদি।
৪. বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সকল কর্মদিবসে সকাল ৯.০০ থেকে বিকাল ৪.০০ পর্যন্ত খোলা থাকে । এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ থাকে।
৫. এই কর্নার থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বই/ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির জনক। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি ১৯২০ সালে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুুুঙ্গী পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দয়ালু, সাহসী ও প্রতিবাদী। তিনি সর্বদা গরিব-দুঃখী মানুষের কথা ভাবতেন। গরীব দুঃখী মানুষের উপর কোন ধরনের নির্যাতন হলে তিনি সর্বদা প্রতিবাদ করেছেন। তাই তার জীবনের অধিক সময় তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়ের আগ পর্যন্ত মোট তেইশ বছরের অর্ধেকের বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন জেলে। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত মানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন একটি স্বাধীন দেশ গঠনের জন্য। তারই চেষ্টায় আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। তিনি আমাদের দেশের উন্নতির জন্য সকল ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন। তিনি এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলেন যেটি হবে সবথেকে বেশি উন্নত এবং সব থেকে সুন্দর। তাই তাকে বাংলার সকল মানুষ ভালোবাসতো, শ্রদ্ধা করত। তার প্রতি ছিলো মানুষের গভীর বিশ্বাস। কিন্তু একদল ষড়যন্ত্রকারীর হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধু নিয়ে যত প্রশংসা করা হোক না কেন একটু বাড়িয়ে বলা হবে না। সে চিরকাল আমাদের মনে। তাকে তো আর ভোলা যায় না। তিনি আমাদরে বাঙ্গালী জাতির জনক।